৭ম শ্রেণি

২০২৫ সালে বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB)-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যক্রম আধুনিক, দক্ষতাভিত্তিক এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। এটি শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক জ্ঞান, দক্ষতা, এবং নৈতিক মূল্যবোধ উন্নয়নের জন্য পরিকল্পিত। এখানে সম্ভাব্য বিষয়ভিত্তিক পাঠক্রমের ধারণা দেওয়া হলো:


১. বাংলা

  • সাহিত্য: কবিতা, ছোটগল্প, নাটক এবং রূপকথার অন্তর্ভুক্তি।
  • ভাষার ব্যবহার: রচনা লেখা, প্রতিবেদন লেখা এবং সংলাপ রচনা।
  • ব্যাকরণ: শব্দ, বাক্য গঠন, ক্রিয়া এবং সন্ধি।
  • শ্রবণ ও কথোপকথন: উচ্চারণ শুদ্ধি ও আবৃত্তি।

২. ইংরেজি

  • Reading: গল্প, নিবন্ধ, এবং তথ্যভিত্তিক লেখা পড়ার দক্ষতা।
  • Writing: চিঠি লেখা, রচনা, ডায়েরি লেখা এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর চর্চা।
  • Grammar: টেন্স, প্রিপজিশন, এবং বাক্যগঠন।
  • Speaking & Listening: কথোপকথনের অনুশীলন এবং শ্রবণ দক্ষতা বৃদ্ধি।

৩. গণিত

  • সংখ্যা তত্ত্ব, বীজগণিত, এবং জ্যামিতি।
  • ভগ্নাংশ, দশমিক, অনুপাত এবং শতাংশ।
  • পরিমাপ ও গাণিতিক মডেল।
  • সমস্যার সমাধান দক্ষতা উন্নয়ন।

৪. বিজ্ঞান

  • জীববিজ্ঞান: মানবদেহের কার্যক্রম, উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।
  • রসায়ন: পদার্থের পরিবর্তন, মিশ্রণ এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া।
  • পদার্থবিজ্ঞান: শক্তি, তাপ, আলোক প্রতিফলন।
  • পরিবেশ বিজ্ঞান: জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ।

৫. বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

  • বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব।
  • বাংলাদেশের ভূগোল ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য।
  • বিশ্ব ইতিহাস ও সংস্কৃতি।
  • সামাজিক মূল্যবোধ এবং দায়িত্বশীল নাগরিকত্ব।

৬. ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (অথবা ধর্ম)

  • ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও নৈতিকতাবিষয়ক বিষয়।
  • হাদিস ও কুরআনের শিক্ষা।
  • নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, এবং সহমর্মিতা।
    (অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ ধর্মের বিষয় পড়ানো হবে।)

৭. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)

  • কম্পিউটারের মৌলিক ব্যবহার।
  • ওয়ার্ড প্রসেসিং এবং স্প্রেডশিট ব্যবহার।
  • ইন্টারনেট ও ইমেলের নিরাপদ ব্যবহার।
  • প্রোগ্রামিংয়ের প্রাথমিক ধারণা।

৮. কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা

  • দৈনন্দিন জীবনে প্রাসঙ্গিক দক্ষতা।
  • কৃষি, কারুশিল্প এবং ছোট মেকানিক্যাল কাজ।
  • উদ্যোক্তা মানসিকতা এবং দলগত কার্যক্রম।

৯. চারু ও কারুকলা (শিল্প ও সংস্কৃতি)

  • চিত্রাঙ্কন এবং সৃজনশীল ডিজাইন।
  • দেশীয় সংস্কৃতি, নাচ, এবং গানের চর্চা।
  • হস্তশিল্প এবং সৃজনশীল প্রকল্প।

১০. শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

  • ব্যায়াম, খেলা এবং শৃঙ্খলা।
  • স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং সুষম খাদ্যের ধারণা।
  • মানসিক স্বাস্থ্য এবং দলগত খেলাধুলার চর্চা।

১১. জীবন দক্ষতা ও মূল্যবোধ

  • সমস্যা সমাধানের কৌশল।
  • সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং দলগত সহযোগিতা।
  • নৈতিক মূল্যবোধ এবং নেতৃত্বের গুণাবলী।

এই কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত, সৃজনশীল, এবং নৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করবে। ২০২৫ সালের শিক্ষানীতি অনুসারে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

Scroll to Top