৮ম শ্রেণি

২০২৫ সালে বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমকে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং নৈতিক মূল্যবোধের উন্নয়নের জন্য আধুনিক ও সময়োপযোগী করা হবে। এটি দক্ষতাভিত্তিক ও সৃজনশীল শিক্ষার উপর জোর দেবে। এখানে সম্ভাব্য বিষয়ভিত্তিক পাঠক্রমের ধারণা তুলে ধরা হলো:


১. বাংলা

  • সাহিত্য: কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাসের অংশবিশেষ।
  • ভাষার ব্যবহার: রচনা, প্রতিবেদন লেখা, সংলাপ রচনা।
  • ব্যাকরণ: ক্রিয়া, পদ, সন্ধি, সমাস।
  • শ্রুতিলিখন এবং আবৃত্তি।

২. ইংরেজি

  • Reading: সাহিত্যিক ও তথ্যভিত্তিক লেখা।
  • Writing: চিঠি লেখা, ডায়েরি লেখা, প্যারাগ্রাফ এবং প্রতিবেদন।
  • Grammar: টেন্স, ভোকাবুলারি, বাক্যগঠন, ডিরেক্ট ও ইন্ডিরেক্ট স্পিচ।
  • Speaking & Listening: কথোপকথনের অনুশীলন এবং শ্রবণ দক্ষতার উন্নতি।

৩. গণিত

  • সংখ্যাতত্ত্ব এবং বীজগণিত।
  • জ্যামিতি: ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ এবং বৃত্তের গঠন।
  • পরিসংখ্যান এবং সম্ভাবনা।
  • বাস্তব জীবনভিত্তিক গাণিতিক সমস্যার সমাধান।

৪. বিজ্ঞান

  • জীববিজ্ঞান: মানবদেহ, কোষ, পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র।
  • রসায়ন: রাসায়নিক বন্ধন, এসিড-বেস, এবং লবণ।
  • পদার্থবিজ্ঞান: গতিবিদ্যা, শক্তি, তাপ, বিদ্যুৎ।
  • পরিবেশ বিজ্ঞান: জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ।

৫. বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

  • বাংলাদেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং রাজনীতি।
  • মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
  • বিশ্ব ইতিহাস এবং ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য।
  • নাগরিক দায়িত্ব এবং মানবাধিকার।

৬. ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (অথবা ধর্ম)

  • ইসলামের মৌলিক শিক্ষা এবং হাদিস।
  • কুরআনের শিক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধ।
  • অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা।

৭. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)

  • কম্পিউটার ব্যবহার: ওয়ার্ড প্রসেসর, স্প্রেডশিট।
  • ইন্টারনেট: ইমেল, সাইবার নিরাপত্তা।
  • প্রোগ্রামিং: প্রাথমিক কোডিং এবং সমস্যা সমাধান।
  • ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন।

৮. কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা

  • হস্তশিল্প এবং কৃষি শিক্ষা।
  • ছোট প্রকল্প এবং প্রাসঙ্গিক দক্ষতার চর্চা।
  • দলগত কাজ এবং উদ্যোক্তা মানসিকতা।

৯. শিল্প ও সংস্কৃতি (চারু ও কারুকলা)

  • চিত্রাঙ্কন, পেইন্টিং এবং সৃজনশীল কাজ।
  • বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি।
  • গান, নৃত্য, এবং নাট্যশিল্প।

১০. শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

  • শরীরচর্চা, ব্যায়াম এবং খেলার অনুশীলন।
  • স্বাস্থ্যবিধি এবং সুষম খাদ্যের ধারণা।
  • মানসিক স্বাস্থ্য এবং দলগত খেলাধুলার গুরুত্ব।

১১. জীবন দক্ষতা শিক্ষা

  • সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং সমস্যার সমাধান।
  • নেতৃত্ব গুণাবলী এবং দায়িত্বশীল আচরণ।
  • দলগত সহযোগিতা এবং আত্মবিশ্বাস।

সংযোজন:

২০২৫ সালের কারিকুলামে দক্ষতাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষা বাড়ানোর জন্য, বাস্তব জীবনের সাথে সম্পৃক্ত প্রকল্পভিত্তিক কাজ ও মূল্যায়নের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।

এই কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, সৃজনশীলতা এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় আরো এগিয়ে নেবে।

Scroll to Top